ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়া যেন একটা স্বপ্ন পুরুন হওয়া। বিভাগীয় শহরগুলোতে হয়ত ক্যাডেট কোচিং গুলোর মার্কেটিং এর জন্য অবিভাবকগন বা শিক্ষার্থীরা
ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য পেয়ে থাকে কিন্তু মফস্বল
এলাকায় থাকা অবিভাবক ও শিক্ষার্থীরা
দুই একজন সচেতন
অভিভাবক হয়তো তার সন্তানকে
ক্যাডেটে ভর্তির হওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে যদিও
তা একেবারেই হাতে গোনা। কিন্তু মফস্বল এলাকার স্কুল গুলোতে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী
আছে যারা ক্যাডেটে চান্স পাওয়ার যোগ্য।
আর তাই এদের জন্যই আজ আমার এই পোষ্টের অবতারনা।
দেখা যায় যে, নভেম্বর মাস হতে শুরু হয় অনলাইনে
আবেদন যা ডিসেম্বর মাস পর্য্নত চলে।
আর জানুয়ারি মাসে শুরু ভর্তি পরিক্ষা। এই ভর্তি
পরিক্ষা যুদ্ধে অংশগ্রহন করতে প্রয়োজনী সব কিছু পরিপূর্ণভাবে জানতে হয়, কারণ অন্য সকল
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ক্যাডেট কলেজগুলোর নিয়ম-নীতি একটু আলাদা। যেমন- ভর্তি পরিক্ষায়
অংশগ্রহনের জন্য কি যোগ্যতা লাগে? কিভাবে আবেদন করতে হয়? আবেদন ফি কত ? কি কি কাগজপত্র
লাগে? এমন আরো কিছু বিষয় তারা খুব সচেতনতার সাথে ক্যাডেট কলেজগুলো পর্যবেক্ষন করে।
চাইলেই যে কেউ আবেদন করতে পারে না, ভর্তির জন্য
আবেদন করতে নির্দিষ্ট যোগ্যতার মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হতে হয়।
১। অবশ্যই বাংলাদেশী হতে হবে।
২। ক্লাস সিক্স বা সমমান পরিক্ষায় মেধা তালিকায়
উত্তীর্ণ হতে হবে।
৩। বয়স ১৪ বছরের বেশি হতে পারবে না।
৪। ছেলে হোক বা মেয়ে উচ্চতা মিনিমাম ৪ফুট ৮ ইঞ্চি ।
৫। যদি এর আগে ক্যাডেট ভর্তির পরিক্ষায় অংশগ্রহন
করে উত্তীর্ণ হতে না পারে, তবে সে আর পরিক্ষা দিতে পারবে না।
৬। পরিক্ষার্থী যদি বর্ণান্ধ, অতিরিক্ত ওজন,
গ্রস নক নী, ফ্ল্যাট ফুট, এবং বিভিন্ন রোগ যেমন- এজমা, মৃগী, হৃদরোগ, বাত, যক্ষা, পুরানো
আমাশয়, হেপাটাইটিস, রাতকানা ডায়াবেটিস সহ অন্য কোন রোগে আক্রান্ত থাকে তবে আবেদন করতে
পারবে না।
অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি:
অভিভাবক অথবা পরিক্ষার্থীকে “www.cadetcollege.army.mil.bd” ওয়েবসাইটে যেয়ে ফর্ম ফিলআপ করতে হবে, ফর্ম ফিলআপের
সময় পরিক্ষার্থীকে পাসপোর্ট সাইজের ছবি ব্যবহার করতে হবে, যার মাপ হবে ১৮০ বাই ২১০
এবং তা ২০০ কিলোবাইটের মধ্যে হতে হবে। আর তা হতে হবে সম্প্রতি ভাল ক্যামেরা দিয়ে তোলা
ছবি।
পরিক্ষার্থীকে তার ক্লাস ৫ এ উত্তীর্নের সনদপত্র
প্রধান শিক্ষক দ্বারা সত্যায়িত হতে হবে, জন্মনিবন্ধন বা জন্ম সনদপত্রের ফটোকপি সত্যায়িত
হতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীর ক্লাস ৬ এ উত্তীর্নের সনদপত্রটি ও তার স্কুলের প্রধানশিক্ষক
দ্বারা সত্যায়িত হতে হবে।
পরিক্ষার্থীর অভিভাবকের মান্থলি ইনকামের স্বপক্ষে
কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন এবং মা বাবা উভয়ের জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত কপি আপলোড করতে
হবে।
অনলাইনে আবেদনের জন্য ব্যবহৃত সকল প্রয়োজনীয়
কাগজ পত্র একটি ১৫ বাই ১০ ইঞ্চি খামের উপর পরিক্ষার্থীর ইনডেক্স নাম্বার পরিক্ষা কেন্দ্রের
নাম উল্লেখ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রেজিস্টার্ড ডাকের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে হবে।
কোটা সুবিধা গ্রহনের জন্য শিক্ষার্থীকের ক্যাডেট
কলেজের ই বুথ আউটলেট হতে আবেদন করতে হবে। এ জন্য কোটা সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
পরিক্ষার জন্য ফি ট্রাস্ট ব্যাংক মোবাইল মানি, কিউ ক্যাস, টেলিটক, বিকাশ এর মাধ্যমে প্রদান করা যাবে।
বাংলা এবং ইংরেজি যে কোন একটি মাধ্যমে পরিক্ষা
দিতে হবে।
আগামী পোষ্টে সিলেবাস সহ আরো প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
Comments
Post a Comment